ফ্রি মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ গত অক্টোবরে ২০ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। এর আগে আরও ৩০ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করতে দেখা যায় মার্ক জুকারবার্গের সংস্থাকে। কেন্দ্রের নতুন নীতি মেনে এ মাসিক রিপোর্ট পেশ করা হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে যাতে ভুয়া বার্তা ছড়ানো না হয় কিংবা কোনো ধরনের গর্হিত কাজের জন্য একে ব্যবহার করা না হয়, সেজন্য সতর্ক সংস্থা।
কী সেই নিয়ম? সংস্থার ওয়েবসাইটে এ ৮টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করা আছে। জেনে নিন-
১) যদি হোয়াটসঅ্যাপ জানতে পারে আপনি অন্য কারো নামে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, তাহলে তাৎক্ষণিক সেই অ্যাকাউন্টটি মুছে দেওয়া হবে।
২) যদি দেখা যায়, আপনি কারো কনট্যাক্ট লিস্টে না থাকা সত্ত্বেও তাকে অসংখ্য মেসেজ পাঠিয়ে চলেছেন তাহলেও আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
৩) হোয়াটসঅ্যাপের বদলে কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করলেও বিপদে পড়তে পারেন। হোয়াটসঅ্য়াপ ডেল্টা, জিবিহোয়াটসঅ্যাপ কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ প্লাসের মতো অ্যাপ ব্যবহার করলেও আপনার অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ হতে পারে।
৫) ধরা যাক, বহু মানুষ আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্য়াকাউন্টটি রিপোর্ট করল। সেক্ষেত্রেও আপনি খোয়াতে পারেন আপনার অ্যাকাউন্টটি।
৬) যে কোনো বার্তা ফরোয়ার্ড করার আগে সাবধান! যদি আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এপিকে ফাইলের বেশে ম্যালওয়্যার কিংবা সন্দেহজনক লিংক লোকজনকে পাঠাতে থাকেন তাহলেও কিন্তু অ্যাকাউন্টটি যে কোনো সময় নিষিদ্ধ করে দিতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ।
৭) হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েবসাইটে পরিষ্কার বলা আছে, ‘বেআইনি, অশ্লীল, মানহানিকর, হুমকি, ঘৃণা উদ্রেককারী’ মেসেজ করলে কিংবা কাউকে বিরক্ত করলে বা ভয় দেখালেও আপনার অ্য়াকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
৮) ফেক মেসেজ নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক হোয়াটসঅ্যাপ। কোনো ধরনের হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া ভিডিও বা ভুয়া বার্তা ছড়ানো মেসেজ ফরোয়ার্ড করার আগে একবার ভাবুন। হয়তো এটাই আপনার শেষ মেসেজ হতে চলেছে। কেননা এ ধরনের মেসেজ ফরোয়ার্ড করলে আপনার অ্যাকাউন্টটি কিন্তু দ্রুত নিষিদ্ধ করে দেবে ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থা।
No comments:
Post a Comment