আইপিএলের পঞ্চদশ আসর চলছে।জমজমাট এই ক্রিকেট লিগটিতে খেলছেন বিশ্বের বড় বড় সব তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু নেই ক্রিকেট পরাশক্তি পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড়। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ২০০৯ সাল থেকেই লিগটিতে অংশ নিতে পারছেন না পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। যদিও ফর্মের বিচারে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই তারা।
২০০৮ সালে আইপিএলের উদ্বোধনী আসরে পাকিস্তানের ১১ ক্রিকেটার অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বছর মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
সেই সময় পাক অলরাউন্ডার ইয়াসির আরাফাত দ্বিতীয় মৌসুমে খেলবেন বলে ঠিক করেছিলেন। যদিও নিষেধাজ্ঞার কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি। কিন্তু আইপিএলে খেলতে বলিউড বাদশাহ ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খানের ফোন পেয়েছিলেন পাকিস্তানি এ অলরাউন্ডার।
সেই সময় পাক অলরাউন্ডার ইয়াসির আরাফাত দ্বিতীয় মৌসুমে খেলবেন বলে ঠিক করেছিলেন। যদিও নিষেধাজ্ঞার কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি। কিন্তু আইপিএলে খেলতে বলিউড বাদশাহ ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খানের ফোন পেয়েছিলেন পাকিস্তানি এ অলরাউন্ডার।
কলকাতা নাইট রাইডার্সে আরাফাতকে নিতে চেয়েছিলেন শাহরুখ খান। তিন বছরের জন্য চুক্তি করতে চেয়েছিলেন নাইট মালিক। ‘ক্রিকেট ডেন’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরাফাত বলেন, ‘প্রথমবারের আইপিএলে কারা খেলবে সেটা ঠিক করে দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই তালিকায় আমার নাম ছিল না। সেই জন্য খেলতে পারিনি। ২০০৮ সালে কেন্টের হয়ে কাউন্টি খেলেছিলাম। সেখানে কেকেআর দলের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা জানিয়েছিলেন যে, শাহরুখ খান চান আমি কলকাতার হয়ে খেলি।’
কিন্তু আরাফাত মনে করেছিলেন সেটা নিছকই মজা ছিল। প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাননি তিনি। আরাফাত বলেন, আমি ভেবেছিলাম মজা করছে ওরা। শাহরুখ কেন আমাকে নেওয়ার জন্য লোক পাঠাবেন। তারা যদিও নিজেদের কার্ড দিয়েছিলেন এবং আমার ফোন নম্বর এবং ইমেইল আইডি নিয়েছিলেন। কয়েক সপ্তাহ পরে আমি মেইল পাই। এরপর শাহরুখ আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে তিন বছরের জন্য চুক্তি করতে চেয়েছিলেন। এরপর মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা হলো এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলা নিষিদ্ধ হয়ে গেল।
প্রথম আসরে অংশ নেওয়া পাকিস্তানের ১১ ক্রিকেটার এক নজরে
শহীদ আফ্রিদি-২ কোটি ৭১ লাখ-ডেকান চার্জাস।
মোহাম্মদ আসিফ-২ কোটি ৬১ লাখ রুপি-দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস
শোয়েব মালিক-২ কোটি রুপি-দিল্লি ডেয়ারডেভিলস)
শোয়েব আখতার-১ কোটি ৭০ লাখ রুপি-কলকাতা নাইট রাইডার্স
উমর গুল-৬০ লাখ ২৪ হাজার রুপি-কলকাতা নাইট রাইডার্স
সালমান বাট-৪০ লাখ ১৬ হাজার রুপি-কলকাতা নাইট রাইডার্স
মোহাম্মদ হাফিজ-৪০ লাখ ১৬ হাজার রুপি-কলকাতা নাইট রাইডার্স
ইউনিস খান-৯০ লাখ ৩৬ হাজার রুপি-রাজস্থান রয়্যালস
কামরান আকমল-৬০ লাখ রুপি-রাজস্থান রয়্যালস
সোহেল তানভীর-৪০ লাখ ১৬ হাজার রুপি-রাজস্থান রয়্যালস
মিসবাহ-উল-হক-৫০ লাখ ২০ হাজার রুপি-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
No comments:
Post a Comment